প্রমথ চৌধুরীর "যৌবনে দাও রাজটিকা"

 

সমগ্র সমাজের এই জীবন প্রবাহ যিনি নিজের


অন্তরে টেনে নিতে পারেন তার মনের


যৌবনের আর ক্ষয়ের আশঙ্কা নেই, বলতে কি


বুঝানো হয়েছে?






"সমগ্র সমাজের এই জীবন প্রবাহ যিনি নিজের অন্তরে টেনে নিতে পারেন তার মনের যৌবনের আর ক্ষয়ের আশঙ্কা নেই" এই বাক্যাংশটি প্রমথ চৌধুরীর "যৌবনে দাও রাজটিকা" প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই বাক্যাংশের দ্বারা লেখক বোঝাতে চেয়েছেন যে, যিনি সমাজের চলমানতাকে নিজের অন্তরে ধারণ করতে পারেন, তিনি সবসময় সজীব ও প্রাণবন্ত থাকবেন। তিনি কখনই মনের যৌবন হারিয়ে ফেলবেন না।



সমাজের জীবন প্রবাহ মানে হল সমাজের চলমানতা, পরিবর্তন ও উন্নতি। এই জীবন প্রবাহে সবসময় নতুন কিছু ঘটছে। নতুন মানুষ, নতুন ধারণা, নতুন আবিষ্কার। এই জীবন প্রবাহে অংশগ্রহণ করলে মানুষ সবসময় নতুন কিছু শিখতে ও জানতে পারে। এইভাবে তারা নিজেদেরকে আপডেট রাখতে পারে এবং সজীব ও প্রাণবন্ত থাকতে পারে।



যারা সমাজের জীবন প্রবাহকে নিজের অন্তরে ধারণ করতে পারে তারা সর্বদাই এই জীবন প্রবাহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলতে পারে। তারা কখনই নিজেদেরকে পুরনো ও অচল মনে করবে না। তারা সবসময় নতুন কিছু করার আগ্রহ ও উদ্যম থাকবে। এইভাবে তারা তাদের মনের যৌবনকে ধরে রাখতে পারে।



সুতরাং, প্রমথ চৌধুরীর এই বাক্যাংশের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, যৌবন ধরে রাখার জন্য সমাজের জীবন প্রবাহে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।



Post a Comment

0 Comments